ময়মনসিংহ ও গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭

ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ছেলেসহ বাবা ও চালকের। আর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নৈশকোচের সঙ্গে বালুবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে পৃথক এই সড়ক দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

ভালুকায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল কাদির (৬৫), তাঁর ছেলে জুয়েল মিয়া (৪৫) ও তাঁদের গাড়ির চালক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি গ্রামে। তবে গাইবান্ধায় নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ভালুকা: ময়মনসিংহগামী একটি কাভার্ড ভ্যান নিশিন্ধায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একটি প্রাইভেট কারের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে কারটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে গিয়ে ধাক্কা খায়। এতে কাভার্ড ভ্যানটি মহাসড়কের পাশে পড়ে যায় এবং প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেট কারের যাত্রী আবদুল কাদির ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে আহত অবস্থায় অন্যদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ছেলে ও চালক মারা যান। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আবদুল কাদিরের অন্য দুই ছেলে।

গাইবান্ধা: পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভিএস পরিবহন নামের একটি নৈশকোচ পঞ্চগড় যাচ্ছিল। কোচটি আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পান্থপাড়ার বকচর এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে ঢাকাগামী বালুবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে কোচটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কোচ ও ট্রাকের চালকসহ চারজন নিহত হন। শিশু ও নারীসহ আহত হন ১৪ জন।

আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই থেকে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ট্রাকচালকের ঘুমের জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন।