প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারা নিয়ে উদ্বেগ আছে, তা বিবেচনা করবে সংসদীয় কমিটি

প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারা নিয়ে উদ্বেগ আছে, সেগুলো বিবেচনা করবে সংসদীয় কমিটি। আগামী ২০ মের পর সম্পাদক পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন-অ্যাটকোর সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। রোববার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

৯ এপ্রিল সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রস্তাবিত আইনটি এখন সংসদীয় কমিটিতে আছে।

বৈঠক শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এ আইনটির বিষয়ে যেসব উদ্বেগ আছে, সেগুলো বিবেচনা করা হবে। কমিটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বিলটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নেবে।

গত ২৯ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর প্রস্তাবিত এই আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন আপত্তি জানায়। বহুল আলোচিত এই আইনের খসড়া আইনসভার অনুমোদনের জন্য ৯ এপ্রিল সংসদে তোলা হয়। পরে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরা প্রস্তাবিত আইনটির কয়েকটি ধারা বাক্‌স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী উল্লেখ করে সেগুলো সংশোধনের দাবি জানান। সরকারের পক্ষে আইনমন্ত্রী তাঁদের কিছু আপত্তি যৌক্তিক উল্লেখ করে সংসদীয় কমিটিতে সেগুলো আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন। এ জন্য সংসদীয় কমিটিতে সম্পাদক পরিষদকে আলোচনার জন্য ডাকার প্রস্তাব করবেন।

রোববার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী। তিনি সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগের বিষয়টি কমিটিকে জানান। বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে বলা হয়, সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকের আগে বিএফইউজে এবং অ্যাটকোর সঙ্গে বৈঠক করবেন আইনমন্ত্রী। এরপর সম্পাদক পরিষদ, বিএফইউজে ও অ্যাটকোকে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হবে।