প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে ছোট্ট সেঁজুতি অভিভূত

ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া ।
ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠির উত্তর পেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছোট্ট শিশু সেঁজুতি অভিভূত। শিশুটির পুরো নাম সৈয়দা রওনক জাহান সেঁজুতি। সেঁজুতি মা-বাবার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া গ্রামে বাস করে। তার বাবার নাম সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। মোগরাপাড়া এইজিজিএস স্মৃতি বিদ্যায়তনের সহকারী শিক্ষক তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেঁজুতির চিঠি থেকে জানা যায়, কিছুদিন আগে তার দাদু মারা যায়। দাদুকে হারিয়ে ভীষণ মন খারাপ তার। কিন্তু সেঁজুতি হারানো দাদুকে খুঁজে পায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে। তাই মনের কথা খুলে বলতে সে গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লেখে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেঁজুতির চিঠি পাওয়ার পর তার জবাবও দেন ১২ এপ্রিল। সেঁজুতি ও প্রধানমন্ত্রীর চিঠি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মামুন-অর-রশীদ বলেন, ‘চিঠি প্রাপ্তি এবং এর উত্তরদানের ঘটনাটি সত্য।’
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সেঁজুতি লেখে, ‘...দাদুকে হারিয়ে আমি ভালো নেই। তোমার মুখ আমার দাদুর মুখের মতো। বিশেষ করে তোমার নাক আমার দাদুর নাকের মতো। তাই আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে টিভিতে দেখলে আমার দাদুর কথা মনে পড়ে...।’ সেঁজুতি প্রধানমন্ত্রীকে তার বাসায় যাওয়ারও দাওয়াত দেয়।

ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া ।
ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া ।

সেঁজুতির চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী খুব যত্ন করে চিঠির উত্তর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমার লেখা চিঠি পেয়েছি। আমার স্নেহ ও শুভেচ্ছা গ্রহণ কর। আশা করি তুমি বাবা, মা এবং বন্ধুদের নিয়ে খুব ভাল আছো। তোমার চিঠিটি আমি কয়েকবার পড়েছি। তোমার দাদুর জন্য দোয়া করেছি। তোমার দাদুকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বেহেশত নসিব করুন। তুমি মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে এবং স্কুলে যাবে। বাবা-মার কথা শুনবে এবং বড় হয়ে দেশের সেবা করবে। তোমার জন্য আমার একটা ছবি পাঠালাম। অনেক অনেক দোয়া আর আদর রইল।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালে পটুয়াখালীর সরকারি জুবিলি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের চিঠির উত্তর দিয়ে তার এলাকা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এলাকায় পায়রা নদের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, প্রতিদিন এই বড় নদ পেরিয়ে তাঁর স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। সে চিঠিটিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।