ঢাকার বাড্ডায় আ.লীগের দুপক্ষে গুলিতে হতাহতের ঘটনায় মামলা নেই, কেউ আটকও হয়নি

কামরুজ্জামান
কামরুজ্জামান

ঢাকার বাড্ডায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গুলিতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কেউ আটকও হয়নি।

সকাল ১০টার দিকে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর নাগাদ মামলা হতে পারে। নিহত ব্যক্তির দাফনের পর তাঁর পরিবার মামলা করবে।

স্থানীয় সাংসদ এবং বাড্ডার বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধের জের ধরে গতকাল বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে

গুলিতে নিহত হন বেরাইদ ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই কামরুজ্জামান ওরফে দুখু (৩৭)। আহত হন চেয়ারম্যানের আরেক ভাই, ভাগনে, চাচা ও স্থানীয় কয়েকজনসহ অন্তত ১০ জন।

বিরোধের এক পক্ষে আছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর। তিনি বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অন্য পক্ষে আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহ।

চেয়ারম্যান পক্ষের অভিযোগ, সাংসদের সমর্থকেরা প্রকাশ্যে তাঁদের লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছেন।

তবে সাংসদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয় সূত্র বলছে, সদ্য সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাড্ডার বেরাইদ এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সর্বশেষ গতকাল একটি সিমেন্ট কারখানায় পাথর-বালু সরবরাহ নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনার বিস্ফোরণ ঘটে।

বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে জেনেছেন।