শাজনীন তাসনিম রহমানের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শাজনীন তাসনিম রহমান
শাজনীন তাসনিম রহমান

আজ ২৩ এপ্রিল। শাজনীন তাসনিম রহমানের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০ বছর আগে গুলশানের নিজ বাড়িতে শাজনীনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ বছর বয়সী শাজনীন তখন স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে শাজনীন ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার হয় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন। তাঁরা হলেন শাজনীনের বাড়ির গৃহভৃত্য শহীদুল ইসলাম (শহীদ), বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তাঁর সহকারী বাদল, বাড়ির গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। একই সঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট শনিরামকে খালাস দেন। বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন চার আসামি হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর করায় তাঁদের সাজা মওকুফ হয়। অপর আসামি শহীদের জেল আপিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) শহীদের করা আবেদনও আপিল বিভাগে খারিজ হয়। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে শাজনীনকে হত্যার দায়ে শহীদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

প্রতিবছরের মতো আজও বাদ আসর (বিকেল সাড়ে পাঁচটায়) শাজনীনের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের বাসভবনে [বাড়ি-এনই (জে)-৪, সড়ক-৮৩, গুলশান-২] মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। শাজনীনের বাবা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ও মা শাহ্নাজ রহমান আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মিলাদ মাহফিলে শরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।