পিরোজপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার চিত্রা গ্রামের গৃহবধূ মমতাজ বেগমকে (২০) হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার হোতখালী গ্রামের বাবুল সরদারের ছেলে আল আমিন (২৯) ও উত্তর পাতাকাটা গ্রামের জাহাঙ্গীর মৃধার মেয়ে মুকুল আক্তার (২৯)। আল আমিন নিহত মমতাজের স্বামীর চাচাতো বোনের স্বামী। আর মুকুল আক্তার মমতাজের চাচাতো বোন।

আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিত্রা গ্রামের ফারুক ফরাজীর স্ত্রী মমতাজের সঙ্গে আল আমিনের ভালো সম্পর্ক ছিল। মমতাজের চাচাতো বোন মুকুলের সঙ্গে আল আমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুকুলের সন্দেহ ছিল আল আমিনের সঙ্গে মমতাজের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে মমতাজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুকুল। ২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর মমতাজকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নেন মুকুল। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি ও আল আমিন দুজন মিলে মমতাজের গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। তাঁর লাশ ধান খেতে ফেলে রাখা হয়। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন ধানখেতে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে মমতাজের স্বামী ফারুক স্ত্রীর লাশ শনাক্ত করেন। তিনি স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন।

২৪ নভেম্বর পুলিশ আল আমিন ও মুকুলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আল আমিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আল আমিন ও মুকুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারক আজ রায় দেন।