গর্বের সঙ্গে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই যাতায়াত করি: জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়
সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তাঁর কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। আজ সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জয় এমন কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিতর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যসংবলিত একটি সংবাদ নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে এসব কথা বলেন জয়। 

জয় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেন, ‘সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সাথে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি।’
এর আগে আজ সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী-কন্যা তাঁদের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমর্পণ করেছেন। সেখান থেকে ওই পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। পাসপোর্টগুলো এখন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সেখানে রক্ষিত আছে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট

শাহরিয়ার আলমের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যসংবলিত একটি সংবাদ নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে জয় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এও বলেন, ‘বিএনপি সম্পূর্ণরূপে একটি অসৎ দলে পরিণত হয়েছে। তাদের কোনো কথাই আর বিশ্বাসযোগ্য না। এই সংবাদে আপনারা দেখতে পাবেন তারেক রহমান ও তার পরিবারের পাসপোর্টগুলোর কপি, যা লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হস্তান্তর করা হয়।’
এর আগে গত শনিবার লন্ডনে প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। তিনি পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। 
এ বক্তব্যের পর আজ তারেক রহমান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারকে আইনি নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে শাহরিয়ার আলম জাতির কাছে বা তাঁর কাছে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। নোটিশের ঘটনা প্রকাশের পর আজ বিকেলে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নোটিশ দেওয়ার কথা শুনে তিনি খুশি হয়েছেন। বিএনপির যে আইন-আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা আছে, সেটা জেনে ভালো লেগেছে।