বগুড়ায় শ্রেণিকক্ষের আদলে কোচিংয়ে শিক্ষার্থী পড়ানোর সময় আটক ১৩,২০০ টাকা করে দণ্ড

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বগুড়ায় কয়েকটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালানোর সময় শ্রেণিকক্ষের আদলে শিক্ষার্থী পড়ানোর অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ১৩ জনের প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও বগুড়ার নির্বাহী হাকিম মমতাজ মহল। 

আজ বুধবার বিকেলে বগুড়ার ‘কোচিংয়ের হাট’ হিসেবে পরিচিত জলেশ্বরীতলা এলাকায় এ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এরা হলেন, শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার মনোয়ার হোসেন (৪২), গাবতলী কালুডাঙ্গা গ্রামের রুবেল মিয়া (২৭), শহরের কলোনি এলাকার জেসমিন আকতার (৪৮), শিববাটি এলাকার সাখাওয়াত হোসেন (৪৭), জলেশ্বরীতলা এলাকার শাহানাজ পারভিন (৩৬) ও শাহিন সুলতানা (৪০), বাদুরতলার কানিজ ফাতেমা (২২), কামারগাড়ি এলাকার জহুরুল হক (৭৪), সদরের আবু সুফিয়ান (৩০), কাহালু উপজেলার ভাটহালি গ্রামের আজিজুল হক (৩০), শিবগঞ্জ উপজেলার তালতলা গ্রামের আবু হাসান (২২), শহরের হাকিরমোড় এলাকার রুবেল মিয়া (২০) ও ফিরোজ কবির (২৯)।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আলিমুন রাজীব প্রথম আলোকে বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে শহরের কোচিং সেন্টার এবং টিউটোরিয়াল হোমের পরিচালকেরা কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথমে তাঁদের সতর্ক করা হয়। এতেও কোচিং বন্ধ না হওয়ায় বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইউনিক, ভাইবোনসহ কয়েকটি কোচিং সেন্টার থেকে ১৩ জনকে আটক করা হয়। এদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেক ২০০ টাকা করে অর্থ দণ্ড প্রদান করা হয়।

জেলা কোচিং সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও প্রোগ্রেস পাবলিক স্কুলের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কোচিং সেন্টার ৪২টি। এর বাইরে শতাধিক কোচিং সেন্টার এবং কয়েক শ টিউটোরিয়াল হোম আছে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোচিং বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। নির্দেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালু রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সংশ্লিষ্টদের দণ্ড দিয়েছেন।