ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা করবে ট্রাস্ট

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অনেক সফলতা অর্জন আছে। সেই অর্জনের পেছনে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিশেষ ভূমিকা আছে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও উন্নয়নের সফলতা ধরে রাখতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা চাই। সে জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেকবার সরকার গঠন হওয়া দরকার।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জের পাটগাতি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে সারা দেশে ১৩ হাজার ৫০০ ক্লিনিক চালু আছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অদূর ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো একটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হবে। ক্লিনিকের কর্মীদের চাকরি স্থায়ী হবে, বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও তাঁরা পাবেন। এ নিয়ে আইন তৈরির কাজ চলছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ) ফয়েজ আহমেদ, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার কর্মসূচির বিষয়ভিত্তিক পরিচালক আবুল হাসেম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।