মাদারীপুরে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে পলায়ন, আটক ৪

মাদারীপুরে এক ইজিবাইকচালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের আশাপাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইজিবাইক চালকের নাম সুলতান ব্যাপারী (৪০)। তিনি সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া এলাকার জহিরুল ব্যাপারীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, রাতে সদর উপজেলার ঘটকচর এলাকা থেকে যাত্রীবেশে চার যুবক সুলতান ব্যাপারীর ইজিবাইকে ওঠেন। এরপর কুনিয়া ইউনিয়নের আশাপাট এলাকায় পৌঁছালে ইজিবাইক চালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এদিকে পাশের ত্রিভাগদি বাজার থেকে অপর একটি ইজিবাইকে করে ওদিক দিয়ে আসছিলেন এলাকার কয়েজন যুবক। তাঁদের সঙ্গে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটির ধাক্কা লাগে। এ সময় ছিনতাইকারীদের শরীরে রক্ত দেখে ওই যুবকদের সন্দেহ হয়। তাঁরা এ নিয়ে প্রশ্ন করলে দুই ছিনতাইকারী সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যান। এ সময় ওই যুবকদের শোরগোলে এলাকার কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে ত্রিভাগদি গ্রামের অপর প্রান্ত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুজনকে আটক করে স্থানীয় লোকজন।

আটক চারজন হলেন রতন হাওলাদারের ছেলে সাব্বির হাওলাদার (২১), কুদ্দুস ব্যাপারীর ছেলে জনি ব্যাপারী (২২) ও শরিফুল ব্যাপারী (২০), গাফফার জমাদারের ছেলে শাওন জমাদ্দার (১৫)। এঁরা সবাই রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর এলাকার বাসিন্দা।

ত্রিবাগদি এলাকার বাসিন্দা জুলকার নাঈন বলেন, ‘এই এলাকাটি বেশ নিরিবিলি। এখানে মাঝেমধ্যে চুরি-ডাকাতি হয়। রাত ১০টার পরে লোকজনের চলাচল থাকে কম। এই ছিনতাইয়ের বিষয়টি যে এত ভয়ানক হতে পারে, তা আমরা বুঝতেই পারিনি। হত্যাকারীদের শরীরে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়ার কারণে তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।’

পেয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা সজীব ব্যাপারী বলেন, নিহত সুলতান ব্যাপারী তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাতেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, হত্যাকারীদের শরীরে রক্তের দাগ দেখেই স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে গণধোলাই দিয়েছে। পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক চারজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে হত্যার স্থান জেনে নিয়ে পুলিশ নিহত সুলতানের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।