অধিকাংশ কেন্দ্রে এজেন্টরা ঢুকতে পারছেন না, অভিযোগ রিজভীর

রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

খুলনার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের শুরুতেই ৪০টি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে আটটায় মধ্যে পুলিশের সহায়তায় ৪০টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা খবর পাচ্ছি, অধিকাংশ কেন্দ্রে এজেন্টরা ঢুকতে পারছে না। অতীতের মতো সেই একই স্বরূপ, একই সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি।’

রিজভী বলেন, ‘ভোট-ডাকাতির যে বিষয়টি আমরা অভিযোগ করেছি, ভোটগ্রহণের পর থেকে ডাকাতি যে চরিত্র দেখছি, কেড়ে নেওয়া, বের করে দেওয়া, আটকে রাখা, রক্তাক্ত করা, ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়া, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, নারী এজেন্টদের হুমকি দেওয়া, এটা তো ডাকাতির নিদর্শন ও চিহ্ন দেখছি।’

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকার যাঁরা এজেন্ট আছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে বলেছেন যে আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছি, আপনারা নৌকা মার্কায় সিল মারতে থাকেন। এখানে ভোটারদের সিল মারার চাইতে আপনার সিলমারা অব্যাহত রাখুন।’

খুলনার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, মারধরসহ নানা অনিয়মের বর্ণনা দেন রিজভী।

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘গ্রিক মূর্তির মতো তারা নির্বাক হয়ে আছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খুলনায় মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সামনে থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটারদের বাধা দিচ্ছে, ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, ভোটারদের ঢুকতে দিচ্ছে না।’

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘এখন আপনারা উপলব্ধি করেন, সরকার কেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চায় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ভোট করতে চায়।’

রিজভী বলেন, ‘কারণ, এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শেখ হাসিনা যা বলবেন, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। যেমন ইসি শেখ হাসিনার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। তবু আমাদের প্রার্থী বলেছেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের প্রার্থী বলেছেন, নির্বাচন থাকবেন। ভোটাররা যদি সুযোগ পায়, এই অন্যায়, এই জুলুমের জবাব দেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।