ধামরাইয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ

শিশু ধর্ষণ
শিশু ধর্ষণ

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আরও চারজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ওই কিশোরী অভিযোগে জানায়, গত শুক্রবার বেলা একটার দিকে সে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় পুকুরের পাড়ে কুঁড়েঘরে থাকা তার ফুপুতো ভাই শাহিদুল ইসলাম তার সঙ্গে কথা আছে বলে ওই ঘরে ডেকে নিয়ে যান। ওই ঘরে আগে থেকেই জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), আব্দুল হালিম (৪০), হাবিবুর রহমান (২৭) ও দেলোয়ার হোসেন (২০) নেশা করছিলেন। ভাইয়ের কথামতো সরল বিশ্বাসে সে ওই ঘরে যাওয়ার পরপরই শাহিদুল তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর অপর চারজনও তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস করলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভয়ে বাড়ি গিয়ে সে আর বিষয়টি কাউকে জানায়নি।

মেয়েটির বাবা বলেন, ঘটনার দিন থেকেই তাঁর মেয়ে অনেকটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। সে খাওয়াদাওয়া ও স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ তার এই অস্বাভাবিক আচরণ পরিবারের সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনো কিছু জানা সম্ভব হচ্ছিল না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক চেয়ারম্যান বলেন, মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয় এক নারী দেখলেও তিনি ভয়ে চেপে যান। পরে মেয়েটির অবস্থা দেখে তিনি অভিভাবকসহ স্থানীয় মুরুব্বিদের বিষয়টি জানান। গত মঙ্গলবার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মেয়েটির কাছে জানতে চাইলে সে সব খুলে বলে। এর পরপরই বিষয়টি ধামরাই থানায় জানানো হয়।

ধামরাই থানার পরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, মেয়েটিকে পাঁচজনে মিলে ধর্ষণ করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মেয়েটির মা গতকাল ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে কাল বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক বলেন, মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য তাকে কাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। পুলিশ হেফাজতে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানিয়েছে।