শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান আওয়ামী লীগ নেতাদের

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আমির হোসেন আমু। ঢাকা, ১৭ মে। ছবি: ফোকাস বাংলা
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আমির হোসেন আমু। ঢাকা, ১৭ মে। ছবি: ফোকাস বাংলা

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, এ দেশের যা কিছু অর্জন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মাধ্যমে হয়েছে। এর বাইরে এই দেশের মানুষের, জাতির কোনো অর্জন হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু এ মন্তব্য করেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তাঁর অনুপস্থিতিতে আলোচনা সভায় আমির হোসেন আমু সভাপতিত্ব করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, যারা বাঙালি জাতির অর্জনগুলো অস্বীকার করতে চায়, খাটো করতে চায়—তারা দেশপ্রেমী নয়, তাদের দেশদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করা উচিত। এ দেশের যা কিছু অর্জন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মাধ্যমে হয়েছে। এর বাইরে কোনো অর্জন এই দেশের মানুষের, এই জাতির হয়নি। বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

আলোচনা সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাজনৈতিক নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অগ্রগতির বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বিএনপির বিষয়ে বলেন, খালি কলসি বাজে বেশি, ভরা কলসি বাজে না। জনগণ বিএনপিকে আন্দোলনে এবং নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজায়। এই মিথ্যাচার করতে করতে একসময় দলটি গভীর খাদে চলে যাবে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ তিনি পুনরুদ্ধার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আবার প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, অন্ধকারের বুক চিরে, তীব্র আলোকচ্ছটা দিয়ে বাংলার সব কালিমা দূর করে—ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরও অনেক দিন বাংলাদেশকে, দেশের মানুষকে পথের আলো দেখিয়ে যাবেন, এই হোক আজকের অঙ্গীকার।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংবাদিক আবেদ খান, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এইচ টি ইমাম, মোজাফফর হোসেন পল্টু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, আবদুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, রমেশ চন্দ্র সেনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।