'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত রেজাউলের পরিবারের সঙ্গে তদন্ত কমিটির সাক্ষাৎ

টঙ্গীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রেজাউল ইসলাম রনি ওরফে বেশতী রনির বাড়িতে পুলিশের তদন্ত কমিটি। ছবি: প্রথম আলো
টঙ্গীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রেজাউল ইসলাম রনি ওরফে বেশতী রনির বাড়িতে পুলিশের তদন্ত কমিটি। ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের টঙ্গীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রেজাউল ইসলাম রনি ওরফে বেশতী রনি নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের তদন্ত কমিটি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। আজ বুধবার সকালে টঙ্গীতে নিহত রেজাউল ইসলামের বাড়িতে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

সারা দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে গত রোববার পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম রনি ওরফে বেশতী রনি। পরে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গত শনিবার রেজাউলকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে পুলিশ দুই দফায় আট লাখ টাকা নেয়। প্রথম দফায় তিন লাখ টাকা নেয় গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। দুই দফায় টাকা নেওয়ার পর রোববার রাতে বন্দুকযুদ্ধে রেজাউল ইসলাম নিহত হন। এর পরদিন সোমবার সকালে আরও পাঁচ লাখ টাকা নেয় টঙ্গী থানার পুলিশ।

রেজাউল ইসলাম নিহত হওয়ার পর প্রথম আলোতে ‘বন্দুকযুদ্ধের আগে টাকা, পরেও টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর এ নিয়ে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হলে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটিতে ঢাকা রেঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতারুজ্জামান এবং গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখকে সদস্য করা হয়। তদন্ত কমিটিকে পুরো ঘটনার বিচার-বিশ্লেষণ শেষে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

আজ সকালে নিহত রেজাউল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। সেখানে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্যরা নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য, স্বজন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।

রেজাউল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশি নজরদারি বেড়ে গেছে। ডিবি, র‍্যাব ও থানা-পুলিশের সদস্যরা টহল দিচ্ছেন নিয়মিত। অনেককে গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।

নিহত রেজাউল ইসলামের বাবা মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সদস্যরা এসেছিলেন। তাঁরা রেজাউলের ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাঁদের উত্তর দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশের তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছাড়াও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। কথা বলার চেষ্টা করছি। আরও বলব। তারপর যথাসময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করব।’