আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চান মওদুদ

মওদুদ আহমদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মওদুদ আহমদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সহায়ক নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। এর জন্য তিনি সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনারও দাবি করেছেন। যদিও দেড় বছর আগে সহায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছিলেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ এসব দাবি করেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সহায়ক সরকার হবে না, এই সরকারও হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতে হবে, যে সরকারের বিধান সংবিধানে ছিল। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অন্যায়ভাবে এবং সংবিধানকে লঙ্ঘন করে সেই বিধানকে বাতিল করা হয়েছে। সেই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়কের পরিবর্তে সহায়ক সরকারের দাবি জানান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ভবিষ্যতে যথাসময়ে জাতির সমীপে উপস্থাপন করব।’
এরপর থেকে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আসছিল বিএনপি। সহায়ক সরকারের একটি রূপরেখাও ঘোষণা করার কথা ছিল দলটির। তবে সে রূপরেখা এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি।

তবে দলের কারাবন্দী চেয়ারপারসনের দাবির বাইরে গিয়ে মওদুদ আহমদ আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানান।
মওদুদ আহমদ বলেন, ২০-দলীয় জোট ছাড়াও বাংলাদেশে আরও গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তি রয়েছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না হয়ে রাস্তায় নেমে কোনো লাভ হবে না। এই ঐক্য আগে আনতে হবে। সে জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনে ত্যাগস্বীকার করতে হবে। তারপরেও এই ঐক্য আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু বিএনপির কথা চিন্তা করলে চলবে না। সারা দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। জাতীয় ঐক্য আনতে হবে। এই ঐক্যের মাধ্যমে দেশে গণ-আন্দোলন হবে। সেই গণ-আন্দোলনের মুখে সরকার বাধ্য হবে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দেওয়ার জন্য। সেটা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এতে বক্তৃতা করেন।