জাল দলিলে 'ফুল' বানান ফুল মিয়া

জমির দলিল তৈরি করায় ভীষণ দক্ষ তিনি। যে কারও নামে দলিল তৈরি করতে পারেন। তবে আসল নয়, জাল দলিল। নাম তাঁর ফুল মিয়া। ৫৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি জাল দলিল তৈরি করতে এতটাই দক্ষ যে, অস্তিত্ব নেই এমন ব্যক্তির নামেও জাল দলিল তৈরি করে ফেলেন। এভাবে প্রতারণা করে ফুল মিয়া আয় করেছেন প্রচুর অর্থ।

প্রতারণার এমন অভিযোগে ফুল মিয়াকে ৩ জুন রোববার আটক করে কালিয়া থানা-পুলিশ। রাত ১১ কালিয়া উপজেলার রামনগর এলাকা থেকে আটকের সময় তাঁর কাছ শতাধিক জাল দলিল, স্ট্যাম্প, জাল পরচা, দাখিলা বই, নামপত্তনের কাগজ, সিলমোহর জব্দ করা হয়।

থানায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করলে পরদিন ৪ জুন সন্ধ্যা ৭টায় ফুল মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় । আজ মঙ্গলবার তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শমসের আলী বলেন, রামনগর গ্রামের রোকন উদ্দীনের ছেলে ফুল মিয়া। তার কাছ থেকে এক শ কপির বেশি জাল দলিল, স্ট্যাম্প, জাল পরচা, দাখিলা বই, নামজারির কাগজপত্রসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস প্রধানের সিল জব্দ করা হয়েছে। ফুল মিয়া অস্তিত্বহীন ব্যক্তির দলিল তৈরি করে ভুয়া ব্যক্তিদের দাতা সাজিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন । তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। আজ তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে ।
কালিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মো. শরিফুল ইসলামের ভাষ্য, ফুল মিয়া প্রকৃত দলিল লেখক নন। তিনি কখনো সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বসেন না । বড়ই চতুর এই মা্নুষটি। নিজের বাড়িতে বসেই জাল দলিল তৈরি করে সাধারণ মানুষকে ঠকাতেন তিনি। এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের নিতেন ফুল মিয়া। বিনিময়ে ভুয়া দলিল তৈরি করে সাধারণ মানুষকে ঠকাতেন তিনি ।

ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কালিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম খালিদ হোসেন।