তাঁর পেটের ভেতর ছিল সোনা

যশোরের বেনাপোলে ভারতগামী যাত্রী মহিউদ্দীন ভূঁইয়ার পেটে পাওয়া গেছে ১২টি সোনার বার। ৫ জুন। ছবি: প্রথম আলো
যশোরের বেনাপোলে ভারতগামী যাত্রী মহিউদ্দীন ভূঁইয়ার পেটে পাওয়া গেছে ১২টি সোনার বার। ৫ জুন। ছবি: প্রথম আলো

যশোরের বেনাপোলে ভারতে পাচারের সময় এক যাত্রীর পেট থেকে ১২টি সোনার বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। আজ মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট ট্রাভেল ট্যাক্স চেক পয়েন্ট থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা সোনার ওজন এক কেজি ৩০০ গ্রাম।

আটক করা ব্যক্তির নাম মহিউদ্দীন ভূঁইয়া (২৭)। তিনি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বিরামকান্দী গ্রামের শাহরিয়ার ভূঁইয়ার ছেলে।

বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, সকালে মহিউদ্দীন ভূঁইয়া ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে আসেন। সকাল আটটার দিকে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় ট্রাভেল ট্যাক্স চেক পয়েন্টে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর পেটের ভেতর সোনা রাখার কথা অস্বীকার করেন। পরে এক্স-রে করে তাঁর পেটের ভেতর সোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপরও পেটে সোনা রাখার কথা অস্বীকার করতে থাকেন তিনি। পরে পেট অস্ত্রোপচার করা হবে বলা হলে সোনা থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। সকাল ১০টার দিকে শৌচাগারে গিয়ে পায়ুপথ দিয়ে একে একে ১২টি সোনার বার বের করে আনেন তিনি। সোনার বারগুলো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। উদ্ধার করা সোনার বাজারমূল্য ৬৫ লাখ টাকা।

উপপরিচালক জানান, আটক মহিউদ্দীন ভূঁইয়াকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বেনাপোল বন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাঁকে এখন থানা-হাজতে রয়েছেন। জব্দ করা সোনা বেনাপোল কাস্টমস গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।