চট্টগ্রাম নগরে চাক্তাই খালের মুখে জলকপাটের নির্মাণকাজ শুরু

চট্টগ্রাম নগরের পানিনিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম চাক্তাই খালের মুখে জলকপাটের (স্লুইসগেট) নির্মাণকাজ আজ বুধবার শুরু হচ্ছে। নগরের অভ্যন্তরে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানির প্রবেশ ঠেকাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই জলকপাট নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

বর্ষা মৌসুমে চাক্তাই খালের মাধ্যমে প্রবেশ করা কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানিতে নগরের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, চাক্তাইসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলকপাট নির্মাণ করা হলে এই দুর্ভোগ থাকবে না বলে জানান সিডিএর প্রকৌশলীরা।

সিডিএ সূত্র জানায়, ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এই জলকপাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের কার্যাদেশ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। এই প্রকল্প নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গত বছরের ২৫ এপ্রিল প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। এটি আউটার রিং রোডের দ্বিতীয় পর্যায়। নগরের পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা পর্যন্ত আউটার রিং রোডের প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক রাজীব দাশ প্রথম আলোকে বলেন, কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত চাক্তাই খালের মুখে নির্মাণাধীন এই জলকপাটের বিশেষত্ব রয়েছে। দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চাক্তাই থেকে নৌকার মাধ্যমে নানা ধরনের পণ্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নেওয়া হয়। তাই এ জলকপাটের মধ্য দিয়ে নৌকা আসা-যাওয়ার সুযোগ থাকবে। বৃষ্টির সময় খালের পানিনিষ্কাশনের জন্য পাম্প স্টেশনও স্থাপন করা হবে।

সিডিএর প্রকৌশলীরা জানান, চাক্তাই খালের মুখে জলকপাটটি ৬০ মিটার দীর্ঘ ও ১২ মিটার প্রশস্ত। উচ্চতা ৩০ ফুট।

সিডিএর এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত চাক্তাইসহ নগরের ১২টি খালের মুখে জলকপাট, তথা জোয়ার প্রতিরোধক গেট (টাইডাল রেগুলেটর) নির্মাণ করবে সিডিএ। এগুলোর সঙ্গে পাম্প হাউস থাকবে। আর কর্ণফুলী নদীর উত্তর তীরে নগরের কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ করা হবে।