ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল

নির্বাচন কমিশন ভবন
নির্বাচন কমিশন ভবন

নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালন না করায় রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৭৫টি দলের মধ্যে শর্তপূরণ না হওয়ায় ৭৩টি দলের আবেদন বাদ দেওয়া হয়েছে। গণ আজাদী লীগ ও বাংলাদেশ কংগ্রেস নামে দুটি দলের আবেদন মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠাবে ইসি। তদন্ত শেষে নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার ইসির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

হেলালুদ্দীন বলেন, ইসির রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কিছু বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিল। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন তা দেয়নি। ১৫ দিন সময় দিয়ে আবারও তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হলেও তারা দেয়নি এবং নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালন করেনি। তাই তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। 


ফারুক আহমেদের দল ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় এখন ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯ টি। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জন্ম হয়েছিল এই দলটির।

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে গত অক্টোবরে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। নিবন্ধনের জন্য ৭৫টি দল আবেদন করেছিল। এর মধ্যে বেশির ভাগ দলই কম পরিচিত, নামসর্বস্ব। তবে ঐক্য ন্যাপ, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাসদ, জোনায়েদ সাকীর গণসংহতি আন্দোলনের মত কয়েকটি দলও নিবন্ধনের আবেদন করেছিল। সেগুলোও বাছাইয়ে বাদ পড়েছে। অবশ্য গণসংহতি আন্দোলন গত সোমবার ইসিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, তারা সব শর্ত পূরণ করেছে এবং নিবন্ধন পাওয়ার দাবিদার।

সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপিও নিবন্ধন পাচ্ছে না। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধনের জন্য নাজমুল হুদার আবেদন ছিল। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ের পরে আবেদন করেছেন। পরে তিনি আদালতে যান। আদালত যাচাই-বাছাই করে বিবেচনার জন্য বলেছিলেন। ইসি যাচাই-বাছাই করে দেখেছে এই দল নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য নয়। তিনি সরকারি ফি জমা দেননি। তা ছাড়া নির্ধারিত সময়ের ভেতরে জমাও দেননি।

ইসি সচিব বলেন, সিটি নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ বাদে অন্য সাংসদের প্রচারে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে আচরণবিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আইনি মতামত পেয়েছে ইসি। ঈদের পরে কমিশন পর্যালোচনা করে সংশোধিত আচরণবিধির প্রজ্ঞাপন করবে। প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর সাংসদেরা প্রচারে অংশ নিতে পারবে না।

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ৩০ জুলাই। আগামীকাল বুধবার এই নির্বাচনের তফসিল প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হবে। এই তিন সিটিতে সাংসদেরা প্রচারের সুযোগ পাবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘এটা আইনগত মতামত নিয়ে বলা যাবে। ঈদের পরে প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর কমিশন সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কমিশন যদি বলে, এটা ভুতাপেক্ষ হবে, হতে পারে।’