কলেজছাত্রীর সাহসিকতায় ধরা পড়া চার বখাটে কারাগারে

টাঙ্গাইলে নারীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আটক চার যুবককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইল, বুধবার, ১৩ জুন। ছবি: প্রথম আলো
টাঙ্গাইলে নারীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আটক চার যুবককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইল, বুধবার, ১৩ জুন। ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলে স্কুল-কলেজের ছাত্রীসহ নারীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আটক চার যুবককে আজ বুধবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ বিভাগ।


টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানান। গ্রেপ্তার চার যুবক হচ্ছেন শহরের থানাপাড়ার তৌহিদুর রহমান (২০), এনায়েতপুর এলাকার কাউছার আহমেদ (২৮), বাঘিল ইউনিয়নের বিলমুড়িল গ্রামের রবিন হাসান (২০) ও রাকিব আলম (২১)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল তাঁদের আটক করে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, আটক যুবকেরা বিভিন্ন সময় স্কুল-কলেজের ছাত্রীসহ নারীদের উত্ত্যক্ত করতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজ থেকে এসব ঘটনার ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। সেই ভিডিও দেখে এই যুবকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ আইনে মামলা করতে পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রোডের ক্যাপসুল মার্কেট এলাকায় একদল বখাটে যুবক গত রোববার এক কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেন। ওই ছাত্রী এর প্রতিবাদ করলে ওই বখাটেরা তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ ও কটূক্তি করেন। এ সময় ওই ছাত্রী বখাটেদের ছবি মুঠোফোনে ধারণ করেন। পরে উত্ত্যক্তকারীদের ছবি ‘STAND AGAINST RAPE-হোক প্রতিরোধ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে পাঠিয়ে দেন ওই ছাত্রী। ওই ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ইমরান কায়েস। তিনি উত্ত্যক্তকারীদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করেন। ওই যুবক ও তাঁর দলের সদস্যরা বিভিন্ন সময় ক্যাপসুল মার্কেট এলাকায় নারীদের উত্ত্যক্ত করে তার ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছেড়ে দিত। এ ধরনের উত্ত্যক্ত করার একটি দৃশ্য রাতুলের ফেসবুক থেকে নামিয়ে ‘STAND AGAINST RAPE-হোক প্রতিরোধ’ গ্রুপে গত সোমবার পোস্ট করেন ইমরান কায়েস এবং এই উত্ত্যক্তকারীদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান। পরে তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের নজরে এলে উত্ত্যক্তকারীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়।