বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, সচল বান্দরবান-রাঙামাটি সড়ক

বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ছড়ার পানিও কমেছে। তলিয়ে যাওয়া বেইলি সেতুতে এখন হাঁটুপানি। এ কারণে মালামাল নিয়ে কেউ কেউ ভ্যানে পার হচ্ছেন। আবার অনেকে রেলিংয়ের ওপরই সমানে পা চালাচ্ছেন। স্বর্ণমন্দির এলাকা, বান্দরবান, ১৩ জুন। ছবি: প্রথম আলো
বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ছড়ার পানিও কমেছে। তলিয়ে যাওয়া বেইলি সেতুতে এখন হাঁটুপানি। এ কারণে মালামাল নিয়ে কেউ কেউ ভ্যানে পার হচ্ছেন। আবার অনেকে রেলিংয়ের ওপরই সমানে পা চালাচ্ছেন। স্বর্ণমন্দির এলাকা, বান্দরবান, ১৩ জুন। ছবি: প্রথম আলো

বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বান্দরবানে আজ বুধবার সকাল থেকে বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এতে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। বন্ধ থাকা বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কেও আগামীকাল সকাল থেকে পুরোদমে যান চলবে বলে আশাবাদী সওজের প্রকৌশলীরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জেলা শহরের কয়েকটি নিচু এলাকা ও লামা উপজেলা শহরে গতকাল মঙ্গলবার পানি উঠেছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় ইতিমধ্যে সেখান থেকে পানি সরে গেছে। জেলা শহরে তিনটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আসা প্রায় ৫৫টি পরিবারের মধ্যে ১০টি পরিবার নিজেদের ঘরে ফিরে গেছে। লামা উপজেলা শহরে ১৫টি পরিবারের ৭৫-৮০ জন লোকও পানি সরে যাওয়ায় বাসাবাড়িতে চলে গেছেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া সবাই নিজেদের বাসাবাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

আজ দুপুরে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের স্বর্ণমন্দির এলাকার পাইনছড়া বেইলি সেতুতে গিয়ে দেখা যায়, খালের পানি কিছুটা কমেছে। সেখানে হাঁটুপানিতে লোকজন ভ্যানগাড়িতে করে সেতু পার হচ্ছেন। আবার অনেকে সেতুর রেলিংয়ের ওপর দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন।

সরক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব আহমেদ বলেন, পাইনছড়া খালের পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে। বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের যান চলাচলও স্বাভাবিক হচ্ছে। অন্যান্য সব সড়কে কোনো সমস্যা নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলী নুর খান বলেন, জেলা শহরের নিচু এলাকার কিছু পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। তারাও বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিজেদের বাড়িঘরে চলে যাবে। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।