প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুর হত্যাকারীরা শনাক্ত হয়নি

শাহজাহান বাচ্চু
শাহজাহান বাচ্চু

মুন্সিগঞ্জে প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের কাউকেই শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। যদিও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকারীরা জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য হতে পারে এবং তাদের শনাক্ত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক দল কাজ করছে।

গত সোমবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কাকালদি গ্রামে আড্ডা দেওয়ার সময় শাহজাহান বাচ্চুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিশাকা প্রকাশনী নামে একটি প্রকাশনা সংস্থাও চালাতেন তিনি। আমাদের বিক্রমপুর নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকও ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ফেসবুকে লেখালেখি করে নিজ মতাদর্শও প্রকাশ করতেন।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ গতকাল বুধবার বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কাল পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। খুনিদের শনাক্ত করা যায়নি। হত্যার কারণ উদ্‌ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ।

এদিকে র‍্যাব-১১-এর মুন্সিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আশিক বিল্লাহ বলেন, তাঁদের ধারণা, হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা খুবই দক্ষ। আলামত থেকে এ বিষয়গুলো অনুমান করা হচ্ছে। ওই ঘটনার পর যে হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া গেছে, তা সাধারণত জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে।

শাহজাহান বাচ্চু হত্যার কোনো সূত্র এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ দুটি বিষয়কে আমলে নিয়ে কাজ করছে। একটি প্রকাশকের লেখালেখি এবং অন্যটি তাঁর সম্পদ ও পারিবারিক বিষয়। খুব শিগগির খুনিদের আইনের আওতায় আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার আহ্বান
শাহজাহান বাচ্চুর হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে সম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)। ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক সংগঠনটি গত মঙ্গলবার তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায়।