ট্রেনের চাকায় পা বিচ্ছিন্ন হলো যুবকের

বাড়ি পৌঁছাতে পারলেন না সোহেল সরকার। রাজশাহী এক্সপ্রেসের হাতল ধরে ঝুলতে ঝুলতে এগোচ্ছিলেন। গন্তব্য গাইবান্ধা। কিন্তু পৌঁছুতে পারেননি। ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পা। আজ বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পরপরই উত্তরা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। তিনি এখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। সোহেল সরকারের ছোট ভাই সুমন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। রাতে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাইয়ার অবস্থা গুরুতর। শুনেছি তাঁর ডান হাতটাও কেটে ফেলতে হয়েছে। এ কথা শোনার পর বাবা-মায়ের অবস্থা খুবই খারাপ।’ শুক্রবার সকালে তাঁদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সুমন বলছিলেন, পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও তাঁর ভাই কথা বলতে পেরেছেন। তিনি ফোন করে বাবা-মাকে দুর্ঘটনার খবর দেন। ঈদ উপলক্ষে দুই ভাই এক বোন গ্রামের বাড়িতে একসঙ্গে হবেন এমন আশা ছিল। এখন তাঁরাই ঢাকা আসছেন সংকটাপন্ন ভাইকে দেখতে। 

উত্তরা ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। হাতল ধরে সোহেল ঝুলে ছিলেন। কিছু দূর এগোনোর পর ঠেলাঠেলিতে নিচে পড়ে যান। পা-টা ট্রেনের চাকার নিচে চলে যায়। সোহেল রানাকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সোহেলদের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের খিদির এলাকার দক্ষিণ শ্রীপুর খুশুর পাড়া। তাঁর বাবার নাম আব্দুল বাকি সরকার। তিনি ঢাকায় আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করেন।
রেলে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু: বৃহস্পতিবার সকালে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছেন এক যুবক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। ওই যুবকের পরনে ছিল জিন্স ও শার্ট। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।