কমলগঞ্জে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬

মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বন্যার পানিতে ভেসে নিখোঁজ হওয়া আরও দুজনের লাশ আজ রোববার উদ্ধার করা হয়েছে।
বেলা দেড়টায় শমশেরনগর ইউনিয়নের হাজীনগর গ্রাম এলাকায় পানি নেমে যাওয়া পর নিখোঁজ মানসিক প্রতিবন্ধী রমজান আলী (৫৫) ও আলীনগর বস্তি এলাকা থেকে ভেসে যাওয়া পরিবহনশ্রমিক সেলিম মিয়ার (৪০) লাশ উদ্ধার হয়।
বন্যার পানি গত কয়েক দিনে উপজেলায় ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এর মধ্যে শনিবার তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার বন্যার পানিতে ডুবে একটি শিশু মারা গিয়েছিল। আজ তা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার সকাল আটটার দিকে শমশেরনগর ইউনিয়নের হাজীনগর গ্রামে সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় রমজান আলী ভেসে যান। একই সময় আলীনগর ইউনিয়নের হালিমা বাজার এলাকায় স্রোতে ভেসে যান সেলিম মিয়া। ওই দিন সকালে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের মান্দারীবন এলাকায় সড়কে ওঠা পানির মধ্য দিয়ে চলাচলের সময় যাত্রীসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভেসে যায়। চালকসহ পাঁচ যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যাত্রীকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় আলীনগর ইউনিয়নে লাঘাটা ছড়ায় পানিতে ভেসে গেছেন অজ্ঞাত পরিচয় আরেক নারী।
ইউপি সদস্য আজির উদ্দীন বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ঘরের আঙিনায় বন্যার পানি উঠে গেছে। গত শুক্রবার দুপুরে রহিমপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতাপী গ্রামের অটোরিকশাচালক মিছু মিয়ার দেড় বছরের ছেলে সাদির বসতঘরের সামনে পানিতে ডুবে মারা যায়।
বন্যার পানিতে ভেসে মারা যাওয়া প্রতিটি পরিবারকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নগদ ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কমলগঞ্জের ইউএনও মাহমুদুল হক বলেন, ভেসে ও পানিতে ডুবে শিশুসহ আটজন নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিশুসহ নিহত ছয়জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।