সৈয়দপুরে পিকনিকের গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯

নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে পিকনিকের গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে নয়জন হয়েছে। গতকাল রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে সৈয়দপুর শহরের বাইপাস মহাসড়কের ধলাগাছ মোড়ের অদূরে আহমেদ প্লাইউড ফ্যাক্টরির সামনে ঘটনা ওই দুর্ঘটনায় আট যুবক নিহত হন।

রাতেই সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক যুবক মারা যান। ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নয়জন নিহত হলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন নীলফামারী সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের নতিবাড়ী কাঞ্চনপাড়ার রুবেল আহমেদ, রাব্বী হোসেন, সাজেদুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম, আরজী দলুয়াপাড়ার ময়নুল হক, ডালিম চন্দ্র ও শামীম হোসেন এবং ধোপাডাঙ্গাপাড়ার বিধান চন্দ্র। মরদেহ রাতেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চারজন ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহত ব্যক্তিদের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছর।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে একদল তরুণ ঈদের ছুটিতে খোলা পিকআপ ভাড়া করে গতকাল সকালে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে যান। সারা দিন সেখানে কাটিয়ে সন্ধ্যার পর দেবীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে রাত সোয়া ১০টার দিকে সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে ধলাগাছ এলাকায় দূরপাল্লার একটি বাস ওই পিকআপের পেছনের অংশে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানে থাকা যুবকেরা রাস্তার দুপাশে ছিটকে পড়ে কোচের চাকায় নিচে পিষ্ট হন। ঘটনাস্থলে আট যুবক নিহত হন। পরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে অজ্ঞাত আরও এক যুবক মারা যান।

নীলফামারী থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, খোলা পিকআপ ভ্যানে যাত্রী পরিবহনের কারণে সৈয়দপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ২৫টি পিকআপ ভ্যান আটকিয়ে মামলাও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর অভিযোগে ৩২টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। তবু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যানে যাতায়াত করছে মানুষ।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রাহীম জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।