ইউএনও হাজির, স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর (১৫) বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মেয়েটির বিবাহের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে ওই দিন দুপুরে আকস্মিকভাবে বিয়ের আয়োজনে গিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন। পরে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন তিনি। 

এ নিয়ে গত পাঁচ মাসে বারহাট্টা উপজেলায় অন্তত ১৮টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন ইউএনও ফরিদা। এর মধ্যে দুজনের পড়াশোনার খরচ তিনি ব্যক্তিগতভাবে দিচ্ছেন। অর্থাভাবে ওই দুই কিশোরীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বারহাট্টা সিংধা ইউনিয়নের ছাত্রীটির বাল্যবিবাহের আয়োজন করেছিল তার পরিবার। সোমবার দুপুরে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর ছিলেন বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের বৃকালীকা গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি রফিক মিয়া (২৮)। এ খবর পেয়ে ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন লোকজন নিয়ে বেলা দুইটার দিকে আকস্মিকভাবে মেয়েটির বাড়িতে হাজির হন। প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিবারের লোকজন সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। পরে ইউএনও পরিবারের সদস্যদের ডেকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝান। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না—এমন শর্তে মুচলেকা আদায় করেন।
ফরিদা ইয়াসমিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েটি উপজেলার একটি মাধ্যমিক স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের পরিবারকে বুঝিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, পাঁচ মাসে বারহাট্টা উপজেলায় অন্তত ১৮টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন।