বিএনপি নির্বাচনে সেনা চায়, কিন্তু সেনাবাহিনী পরিচালিত হাসপাতালে ভরসা নেই: তোফায়েল আহমেদ

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপি সব সময় নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়, কিন্তু সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হাসপাতালে তাঁদের ভরসা নেই। একজন অসুস্থ মানুষ তাঁর পছন্দের হাসপাতাল না হওয়ায় সময়ক্ষেপণ করেন কীভাবে, এটা বুঝি না।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন। সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আজ সোমবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াকে আদালত সাজা দিয়েছেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। দলের নেতারা তাঁর মুক্তির জন্য কাজ করছেন। তাঁরা এ মুক্তির জন্য আন্দোলনও করতে পারেন। কিন্তু সেই আন্দোলন যদি ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো করার কথা ভাবে, তার সুযোগও নেই, সামর্থ্যও নেই। ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ আছে। ৯০ দিন আগে যেকোনো দিন নির্বাচন হবে। ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সেই সময়। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা সহায়ক সরকার বলে বাংলাদেশে আর কিছু হবে না উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের ঈদ খুব ভালো হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল।’ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এবার নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় ছিল এবং রোজার সময় অনেক পণ্যের মজুত ছিল, তাই দাম বাড়েনি। গণমাধ্যম ভালো সংবাদ পরিবেশন করেছে। এ জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের যে তৎপরতা ছিল, অন্য কোনো দলের সে তৎপরতা চোখে পড়েনি।