কুলাউড়ায় দিনমজুরের ঘর পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

কুলাউড়া উপজেলায় এক দিনমজুরের কাঁচা ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ছবি: কল্যাণ প্রসূন
কুলাউড়া উপজেলায় এক দিনমজুরের কাঁচা ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ছবি: কল্যাণ প্রসূন

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় এক দিনমজুরের কাঁচা ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই দিনমজুরের স্ত্রী কুপ্রস্তাবে স্ত্রী রাজি না হওয়ায় গতকাল রোববার ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিনমজুরের স্ত্রীকে (২৫) সোনা মিয়া (৩৫) নামের প্রতিবেশী এক ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছেন। এ ব্যাপারে দিনমজুর বিচারপ্রার্থী হওয়ায় বছর খানেক আগে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠকও হয়। এরপর ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সোনা মিয়া বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেন। গৃহবধূ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে বের হয়ে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোনা মিয়া দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ঈদ উপলক্ষে রোববার (১৭ জুন) সকালে দিনমজুর তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একই এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। ওই রাতে প্রতিবেশীরা দিনমজুরের মাটির দেয়াল ও টিনের চালার ঘরটিতে আগুন জ্বলতে দেখেন। খবর পেয়ে দিনমজুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছুটে যান। এলাকাবাসী পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর আগেই ঘরের সব মালামাল পুড়ে যায়। কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রওনা দিলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। সোমবার বিকেলের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়।
দিনমজুরের স্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, সোনা মিয়া এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
দিনমজুর বলেন, আগুনে আসবাবসহ ঘরের ভেতরে থাকা ১০-১২টি হাঁস-মুরগি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় দুই ব্যক্তি বলেন, সালিসে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করতে সোনা মিয়াকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।
কুলাউড়া থানার এসআই আবদুল খালেক সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ঘরটিতে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সোনা মিয়া জড়িত বলে দিনমজুরের পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সোনা মিয়াকে অভিযান চালিয়ে তাঁর বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
তবে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সোনা মিয়া তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। দিনমজুরের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগটিও তিনি অস্বীকার করেন।