সিটি নির্বাচনের কৌশল ঠিক করতে মাঠে বিএনপি

ঈদের আগেই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের কৌশল ঠিক করতে এর মধ্যেই মাঠে নেমেছে বিএনপি। সে লক্ষ্যেই পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর বৈঠকের জন্য ওই তিন সিটির স্থানীয় নেতাদের ঢাকায় তলব করেছিল বিএনপি। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিন সিটি থেকে আগত নেতারা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকটি সোমবার রাত আটটার দিকে শেষ হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এই তিন সিটির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আলাপ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। সিটি নির্বাচনে দলীয় কৌশল ঠিক করতে এবং প্রার্থী চূড়ান্ত করতে এসব নেতার মতামত চাওয়া হয়। কোন কৌশলে এগোলে দলীয় প্রার্থীর বিজয় হবে—এ নিয়ে নানা পরামর্শ এসেছে স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে। বৈঠকে সিটি নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে কেন্দ্র থেকে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত নেতাদের অসন্তুষ্টি এবং এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দলের করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আমরা এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিটির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেছি।’
এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুরসহ আসন্ন তিন সিটি নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনে নিয়ে বৈঠক আলোচনা করেছেন তাঁরা।

বৈঠকে সম্প্রতি বিএনপির তিন নেতার ভারত সফরের অর্জন সম্পর্কে অন্য নেতাদের অবহিত করেন সফরে অংশ নেওয়া দুই নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল আউয়াল মিন্টু। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, জমির উদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।