বৈরী আবহাওয়ায় কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায় নৌ চলাচল ব্যাহত

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে যাত্রী ও চালকদের। কাঁঠালবাড়ি ঘাট, মাদারীপুর। ছবি: অজয় কুণ্ডু
বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে যাত্রী ও চালকদের। কাঁঠালবাড়ি ঘাট, মাদারীপুর। ছবি: অজয় কুণ্ডু

বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এই পথে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। অন্যদিকে, ঈদে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলে ২১ জেলার মানুষ যাতায়াতের জন্য কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথ ব্যবহার করে। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে। ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ঈদে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ২০টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ, দেড় শতাধিক স্পিডবোট রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন শতাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিসির মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ করেই পদ্মা নদীতে ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। এ সময় দুই ঘণ্টার মতো লঞ্চ, স্পিডবোট ও ডাম্ব ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে আবহাওয়া কিছুটা উন্নতি হলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে বৈরী আবহাওয়া থাকায় লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে যেসব নৌযান চলাচল করছে, সেগুলো বিশেষ সতর্কতা নিয়ে চলছে।

মাদারীপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী শাহাদাত আকন বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে ঘাটে এসে বসে আছি। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ। ফেরিতে চাপ বেশি তাই ঘাটেই বসে আছি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দেব।’

আরেক যাত্রী ইব্রাহীম সরদার বলেন, ‘বরিশাল থেকে মাইক্রোবাসে করে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসেছি। বৃষ্টি আর কাদায় আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ঘাটে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকার পরে ফেরিতে উঠতে পেরেছি। ফেরিতেও যাত্রীদের চাপ বেশি। তাই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।’

কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পারাপারে আটকা পড়েছে অর্ধশত ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান। মুন্সিগঞ্জগামী ট্রাকের চালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাত থেকেই ঘাটে আটকা পড়েছি। বৃষ্টির মধ্যে আমাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। ঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও মানুষের চাপ বেশি। তাই ফেরিতে আমাদের ট্রাক তুলছে না। কখন পদ্মা নদী পাড়ি দিতে পারব, তাও আমাদের কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে না।’

কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কুশল সাহা প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টিতে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ বাড়ছে। তবে যানবাহনের চাপ তেমন নেই। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানবাহনের জটলা নিরসনে কাজ করছেন।