আড়াই লাখ একর বনভূমি বেদখলে: বনমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানিয়েছেন, দেশের প্রায় ২ লাখ ৬৮ হাজার একর বনভূমি বেদখলে রয়েছে। সরকার বেদখল বনভূমি উদ্ধারের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

জাতীয় সংসদে আজ মঙ্গলবার সরকারি দলের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

বনমন্ত্রী বলেন, বহু আগে থেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি বনাঞ্চলের কাছের জনগণের চাষাবাদ, বসতি স্থাপন, রাস্তাঘাট নির্মাণ ইত্যাদি কারণে বনভূমি জবরদখল হয়েছে। পরে শিল্পায়ন, নগরায়ণ, পাকা সড়ক নির্মাণ, হাটবাজার স্থাপন ইত্যাদি কারণে বনভূমি বেদখল হয়েছে। তবে বর্তমানে ব্যাপক প্রচার এবং সরকারের তৎপরতায় নতুন করে বনভূমি জবরদখলের সুযোগ নেই।

সরকারি দলের আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ে পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, চলতি বছরের মে পর্যন্ত দেশে মোট ইটভাটার সংখ্যা ৬ হাজার ৮০৭টি। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫৭টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকি ১ হাজার ৭৫০টি ইটভাটার ছাড়পত্র নেই।

জাতীয় পার্টির সাংসদ সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মোট আবাদযোগ্য কৃষিজমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৬ দশমিক ৫৫ হেক্টর। মোট সেচকৃত জমির পরিমাণ ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০০ দশমিক ০৩ সেক্টর। অর্থাৎ সেচের আওতায় জমির পরিমাণ শতকরা প্রায় ৮৭ শতাংশ। আর বাকি ১৩ শতাংশ জমি সেচের আওতার বাইরে।