বাবুই পাখির কুঁড়েঘর

‘বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,/ কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,/ আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে/ তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।’ কবি রজনীকান্ত সেনের ছড়াটির নায়ক নিপুণ বাসা তৈরির কারিগর বাবুই পাখি। একই গাছে অনেকগুলো বাসা বাঁধে এই পাখি। ঘাস, খড়কুটো বা নারকেলগাছের পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে তারা বোনে তাদের বাসা। বাবুই দক্ষিণ এশিয়ার একটি এন্ডেমিক পাখি। এন্ডেমিক বলতে বোঝায় কোনো প্রজাতির নির্দিষ্ট কোনো ভৌগোলিক স্থানে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়া। এ বাবুই বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আমাদের তিন প্রজাতির বাবুই হলো দেশি বাবুই (Ploceus philippinus), দাগি বাবুই (Ploceus manyar) ও বাংলা বাবুই। এদের মধ্যে দেশি বাবুই দেশের সব গ্রামের তাল, নারকেল, খেজুর, রেইনট্রিগাছে দল বেঁধে বাসা বোনে। কিন্তু বাংলা ও দাগি বাবুই বিরল। লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্নায় এক সুপারিগাছে দেখা মিলল বাবুই পাখির নতুন-পুরোনো বাসা।

নতুন বাসা তৈরির জন্য নারকেলগাছের পাতা ছিঁড়তে এসেছে এই বাবুই।
নতুন বাসা তৈরির জন্য নারকেলগাছের পাতা ছিঁড়তে এসেছে এই বাবুই।
চলছে নতুন সবুজ আবাস তৈরির কাজ।
চলছে নতুন সবুজ আবাস তৈরির কাজ।
দল বেঁধে খাবার খাচ্ছে বাবুই পাখি।
দল বেঁধে খাবার খাচ্ছে বাবুই পাখি।
বাবুই পাখির বাস দেখতে অনেকটা উল্টানো কলসের মতো।
বাবুই পাখির বাস দেখতে অনেকটা উল্টানো কলসের মতো।
খাবারের খোঁজে এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করছে বাবুই।
খাবারের খোঁজে এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করছে বাবুই।
একই গাছে নতুন ও পুরোনো বাসা। নতুন বাসা সবুজ হয়।
একই গাছে নতুন ও পুরোনো বাসা। নতুন বাসা সবুজ হয়।