নোয়াখালীর 'ঐতিহ্য' নষ্ট করবেন না: কাদেরকে বিএনপির ১০ নেতার অনুরোধ

ওবায়দুল কাদের ও মওদুদ আহমদ
ওবায়দুল কাদের ও মওদুদ আহমদ

বৃহত্তর নোয়াখালীর বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, মওদুদ আহমদকে পুলিশ দিয়ে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখে ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহাবস্থানের ঐতিহ্যে ক্ষতের সৃষ্টি করেছেন। এই ঐতিহ্য নষ্ট না করতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে বিএনপির ১০ নেতা এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান।
ঈদের দিন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিজের গ্রামের বাড়িতে মওদুদ আহমদকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ ঘটনার জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ দায়ী করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে।
সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ আহমদ দাবি করে বলেন, ‘পুলিশ অফিসার আমাকে বলেছে, স্যার আমাদের দোষ দিয়েন না। ওপরের নির্দেশে আমরা এসেছি। ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশেই পুলিশ এই কাজ করেছে।’

মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, শুধু নোয়াখালী নয়, সারা দেশেই আজ একই রকম পরিস্থিতি। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, যেহেতু নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছেন, হয়তো এখানে অবস্থার একটু পরিবর্তন হবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং অবস্থা আরও খারাপ। তারা চায় না বিএনপির কেউ মাঠে নামুক। তাদের পলিসি হলো, বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, ‘মওদুদ আহমদ একজন জাতীয় নেতা। তিনি উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মওদুদ আহমদকে কেন্দ্র করে সরকারের যে আচরণ, তাতে ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের বাইরে নোয়াখালীতে রাজনৈতিক সহাবস্থানের যে ঐতিহ্য ছিল, সে জায়গাটুকু সরকার নষ্ট করে ফেলছে।’

আরেক ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বলেন, ‘একসময় মওদুদ আহমদকে আদর্শ মানতেন ওবায়দুল কাদের। পা ধরে সালাম করার কথা না-ই বললাম। অথচ আজ পুলিশ দিয়ে তাঁর ইফতার মাহফিলের রান্নার চুলায় পানি ঢেলে দেওয়া হয়। ওনাকে অনুরোধ করব, নোয়াখালীর ঐতিহ্য নষ্ট করবেন না। আশা করি, কাদের সাহেব সংবিৎ ফিরে পাবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সাংসদ আশরাফ উদ্দিন নিজান, কেন্দ্রীয় নেতা রেহানা আক্তার প্রমুখ।