শৌচাগারে সন্তান জন্ম দেওয়া রোকসানা ফিরতে চান স্বামীর কাছে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভারতীয় নাগরিক রোকসানা। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভারতীয় নাগরিক রোকসানা। ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে থানার শৌচাগারে সন্তান প্রসব হওয়া ভারতীয় নাগরিক রোকসানা আকতার এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু তাঁর স্বামী এখন পর্যন্ত রোকসানা বা তাঁর সদ্য জন্ম হওয়া পুত্রসন্তানের কোনো খবর নেননি। পুলিশ বলছে, তাঁরা ওই নারীর স্বামীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন।

রোকসানা আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্বামী আবদুল্লাহর সঙ্গে গত ছয়-সাত দিন আগে বেঙ্গালুরু থেকে বাংলাদেশে আসি। তিনি আমাকে নিয়ে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানের পাশে তাঁর বাসায় যান। সেখানে তাঁর মা ও ভাই আছেন। ঘটনার দিন স্বামী ও তাঁর বোন নিলু আমাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বের হন। এক চিকিৎসককে দেখানো হলে আমাদের জানানো হয়, আমার পেটের বাচ্চা মারা গেছে। পরে স্বামী ও তাঁর বোন আমাকে রেলস্টেশনের নিয়ে যান, সেখানে আমাকে বসিয়ে রেখে তাঁরা কোথায় যেন চলে যান—আর ফেরেননি।’ রোকসানা বলেন, আবদুল্লাহর বাবার নাম হোসেন শরিফ। এর বাইরে আর কিছু জানেন না তিনি।

রোকসানা আরও বলেন, বেঙ্গালুরুতে আবদুল্লাহ ফার্নিচারের কাজ করতেন। সেখানের তাঁর সঙ্গে আবদুল্লাহর প্রেম হয়। দেড় বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এবারই প্রথম বাংলাদেশে আসেন রোকসানা। রোকসানার বাবা সেখানে কৃষিকাজ করেন। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে রোকসানা সবার ছোট।

রেলওয়ে থানা (জিআরপি) কমলাপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোকসানার স্বামীকে খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। নবজাতক সুস্থ আছে। তবে রোকসানা আমাদের কাছে কিছু লুকাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি সঠিক তথ্য দিলে আমাদের কাজ আরও সহজ হয়ে যেত।’
ওসি বলেন, গত সোমবার রাতে ওই নারী থানার শৌচাগারে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। এরপর প্রথমে তাঁকে মুগদা হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ওসি ইয়াছিন ফারুক বলেন, রোকসানা তাঁর বাড়ি ভারতের বেঙ্গালুরুর মহীশুরে বলে জানিয়েছেন। তাঁর বাবার নাম রসুল এবং মায়ের নাম খায়রুননেসা। বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরকে জানানো হয়েছে। মা ও সন্তান সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাঁদের আদালতের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার আবেদন করা হবে।