মধুপুরের ১৩ গ্রামের গারো ও কোচরা উচ্ছেদ-আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন

মধুপুরের ১৩টি গ্রাম ‘সংরক্ষিত বন’ ঘোষণা বাতিলের দাবিতে বুধবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ছবি: প্রথম আলো
মধুপুরের ১৩টি গ্রাম ‘সংরক্ষিত বন’ ঘোষণা বাতিলের দাবিতে বুধবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় এলাকার গারো ও কোচ জাতিগোষ্ঠীর ১৩টি গ্রামকে ‘সংরক্ষিত বন ঘোষণা’ বাতিলের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন। বুধবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বৃহত্তর ময়মনসিংহ আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি অজয় এ মৃ। তিনি জানান, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক গেজেটের মাধ্যমে মধুপুর গড় এলাকার ৯ হাজার ১৪৫ একর জমিকে চূড়ান্তভাবে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করেছে । এই জমিগুলোর মধ্যেই গারো ও কোচদের ১৩টি গ্রাম পড়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে গায়রা, জলই, টেলকি, সাধুপাড়া, জালাবাদা, কাকড়াগুনি, বেদুরিয়া, জয়নাগাছা, বন্দরিয়া, কেজাই, আমলীতলা পনামারি ও গাছাবাড়ি। এসব গ্রামের ১ হাজার ৮৩টি গারো ও কোচ পরিবারের ৬ হাজার ৭৭ জনের বসতবাড়ি এবং তাঁদের আড়াই হাজার একর চাষাবাদের জমি রয়েছে। এ গ্রামগুলোতে স্মরণাতীত কাল থেকে বসবাসকারী এসব জাতির মানুষ উচ্ছেদ-আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, তাঁরা জানতে পেরেছেন, এই বনে ‘ইকো টুরিজম’ এলাকা ঘোষণার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। এটা বাস্তবায়িত হলে তাঁদের ভূমি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের পরিকল্পনা বাতিলসহ গারো ও কোচদের রেকর্ডভুক্ত জমি নিয়মিত খাজনা নেওয়া চালু করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, সাধারণ সম্পাদক থমাস চাম্বুগং, মধুপুর ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উইলিয়াম দাজেল, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত নকরেক, আচিক মিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা মৃ, মধুপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, বাংলাদেশ আদিবাসী সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি হেরিদ সিমসাং, গারো ছাত্রসংগঠনের সাবেক সভাপতি শ্যামল মানকিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।