পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্স, দ্রুত অনুসন্ধান শেষ করার নির্দেশ

ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি
ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি

পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস পেপার্সে যেসব বাংলাদেশির নাম এসেছে, তাঁদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

আজ বুধবার দুদক চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে সংস্থাটির সচিব, সব মহাপরিচালক, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ কমিশনের চলমান অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। কর্মকর্তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, দুদক শুধু প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমই পরিচালনা করে না, এটি প্রসিকিউটিং এজেন্সিও। তাই এর সব কার্যক্রমে ক্ষিপ্রতা, সময়ানুবর্তিতা ও আইনি বিশুদ্ধতাও থাকতে হবে।

কোনো কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান একই অডিট ফার্মের তৈরি বার্ষিক আর্থিক বিবরণী ভিন্ন ভিন্নভাবে তৈরি করে বিভিন্ন সংস্থায় জমা দেয়। আয়কর বিভাগে জমা দেওয়া প্রতিবেদনের সঙ্গে আইপিওর জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে জমা দেওয়া ওই একই আর্থিক বিবরণীর কোনো মিল থাকে না। আবার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য জমা দেওয়া আর্থিক বিবরণীও আলাদা হয়। এমন অভিযোগের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান। সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক বিষয়টি চেয়ারম্যান জানালে তিনি দ্রুত এ অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করার নির্দেশ দেন।

ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ট্রেডবেইজড মানি লন্ডারিং-সংক্রান্ত একটি অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রমও দুদক চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। তিনি এ-জাতীয় অনুসন্ধান দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেন।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ ও শুদ্ধাচারী সমাজ বিনির্মাণ করতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীদের মননে শুদ্ধাচার তথা নৈতিক মূল্যবোধ প্রোথিত করতে হবে।’

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘সততা স্টোর’ এবং ‘সততা সংঘ’ গঠনের পাশাপাশি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সততা সংঘের সদস্যদের মধ্যে উত্তম চর্চার বিকাশে নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে সব কার্যক্রম বছরের প্রারম্ভে প্রণীত বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা অনুসারে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কমিশনে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

স্বার্থের দ্বন্দ্ব-সংক্রান্ত আইনের খসড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দ্রুত প্রেরণেরও নির্দেশনা দেন দুদকের চেয়ারম্যান।