কিছু লুটপাটকারীর জন্য ব্যাংক খাত নাজুক হয়ে যাবে, সেটা হয় না: শিরিন আখতার

ব্যাংক খাতে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধেও শূন্য সহিষ্ণুতা দেখানোর দাবি জানিয়েছেন জাসদের সাংসদ শিরিন আখতার।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাসদের সাধারণ সম্পাদক এ দাবি জানান।
শিরিন আখতার বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি ব্যাংকিং খাতের লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধেও নিতে হবে। কিছুসংখ্যক লুটপাটকারীর জন্য ব্যাংক খাত নাজুক হয়ে যাবে, সেটা হয় না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাংসদ মোহাম্মদ মুনিম চৌধুরী বলেন, অর্থমন্ত্রী ব্যাংকে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি, উল্টো তাদের চাপে প্রণোদনা দিয়েছেন। পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেননি। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বাজেটের আকার বাড়লেও কর্মসংস্থান বাড়েনি। বাজেট সব মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছে কি না, সেটিই বড় প্রশ্ন। প্রতিবছর দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। কারা অর্থ পাচার করছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতিতে ফাঁক রয়ে গেছে। এটা বন্ধ করা না গেলে অর্থনীতি একসময় ভেঙে পড়বে। কল্যাণমুখী রাষ্ট্র করতে হলে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে, অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, এই বাজেট পেশের পরে দেশে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি, দাম বাড়েনি, কঠোর সমালোচকেরাও সুনির্দিষ্ট কোনো ত্রুটি বের করতে পারেনি।
সরকারি দলের সাংসদ দীপু মনি বলেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ক্যাসিনো অর্থাৎ জুয়ায় আয়ের উৎস দেখিয়েছেন। তিনি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং তাঁর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, জিয়া পরিবারের দুর্নীতির তথ্য বিশ্বব্যাপী প্রমাণিত। এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট বাংলাদেশে এসে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, বিএনপির আমলে যা হয়েছে, তা হচ্ছে পরিকল্পিত দুর্নীতি।
অন্যদের মধ্যে আবদুল মান্নান, কামাল আহমেদ মজুমদার, এম তাজুল ইসলাম, আফতাব উদ্দিন সরকার, এ কে এম ফজলুল হক, সামশুল হক চৌধুরী, সফুরা বেগম, ফিরোজা বেগম চিনু, উম্মে কুলসুম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।