নওগাঁয় নেশাগ্রস্ত বাবার হাতে ছেলে খুন হওয়ার অভিযোগ

খুন
খুন

নওগাঁয় মাদকাসক্ত বাবার হাঁসুয়ার আঘাতে ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম রাজু আহমেদ (২২)। তিনি রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাবা মতিউর রহমান (৫০)।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, গত সোমবার দুপুরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে আসেন মতিউর। তাঁকে নেশা ছেড়ে দিতে বলেন ছেলে রাজু। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতের কাছে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে ছেলের মাথায় আঘাত করেন বাবা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজুর মৃত্যু হয়।

রাজুর মৃত্যুর ঘটনায় মতিউরের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী জয়নব বেগম স্থানীয় নিয়ামতপুর থানায় মামলা করেছেন। মতিউরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, মতিউর দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। তিনি নেশা করে এসে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করেন। এ নিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গেও তাঁর ঝগড়া-বিবাদ হয়। এলাকার লোকজন তাঁর ওপর অতিষ্ঠ।

স্ত্রী জয়নব বেগম বলেন, তাঁর স্বামী মতিউর নেশা করে বেড়ান। সংসারের খোঁজ নেন না। নেশার টাকার জন্য ঝগড়া করেন। তাঁকে (জয়নব) মারধর করেন। ছেলে রাজু এগুলো সহ্য করতে পারতেন না। বাবাকে আগেও নেশা ছেড়ে দিতে বলেছিলেন ছেলে। কিন্তু মতিউর কথা শোনেননি। এ নিয়ে বাবা-ছেলের প্রায়ই ঝগড়া হতো। শেষে ছেলেকে মেরেই ফেলল মতিউর। এ ঘটনার ন্যায় বিচার চান তিনি।

গ্রামবাসীর ভাষ্য, রাজু খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বাবা নেশাগ্রস্ত হওয়ায় সংসারে টানাটানি চলছিল। রাজু রাজশাহীতে টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ জোগাতেন।

নিয়ামতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হক বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামি মতিউরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে রাজুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।