বগুড়ার সেই যুবলীগ নেতা পৌর কাউন্সিলরের পদ থেকে বরখাস্ত

মোস্তাকীম রহমান
মোস্তাকীম রহমান

আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা, অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় বগুড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাকীম রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি শহর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদকও।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব আবদুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে মোস্তাকীম রহমানকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ, পৌর শাখা-১ থেকে ১৪ জুন বরখাস্তের এই আদেশ ইস্যু করা হলেও তা আজ বৃহষ্পতিবার বগুড়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের দপ্তরে এসে পৌঁছায়।

জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুফিয়া নাজিম প্রথম আলোকে বলেন, আদালত ও পুলিশের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যনুযায়ী মোস্তাকীম রহমান বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট কর্মকর্তার ওপর হামলাসহ পাঁচটি মামলার প্রধান আসামি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সুজানুর হত্যা ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলার অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেছেন। এখন সাক্ষ্য গ্রহন পর্যায়ে রয়েছে।

২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর শহরের খান্দার এলাকায় বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সুজানুর রহমান ওরফে সুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মোস্তাকিম ওই মামলারও প্রধান আসামি।

বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে, ‘কাউন্সিলর মোস্তাকীম রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হয়েছে। তাঁর কোনো বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স নেই। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী, পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলে এবং নির্ধারিত কতৃপক্ষের বিবেচনায় ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী এবং প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচিন না হলে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে মেয়র বা কাউন্সিলরকে সাময়িক বহিস্কার করিতে পারিবে।
এ ক্ষেত্রে মোস্তাকীম রহমান কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করলে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সেবা প্রত্যাশী সাধারণ জনগণের মাঝে আতঙ্ক ও ভীত সঞ্চার হতে পারে এবং মামলার স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে কাউন্সিলর হিসাবে ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থি এবং জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনসেবায় নিয়োজিত থাকা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচিন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে জনস্বার্থ বিবেচনায় মোস্তাকীম রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজন।’

বগুড়া পৌরসভার মেয়র একেএম মাহবুবর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে পাঠানো কাউন্সিলর মোস্তাকীম রহমানের বরখাস্তের চিঠি ইতিমধ্যেই পৌরসভায় এসে পৌঁছেছে। বিধি অনুযায়ী চিঠি হাতে পৌঁছার পরই তাঁর বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হয়েছে।’