চট্টগ্রামে মাদকের ডেরা উচ্ছেদে বাধা, পুলিশের লাটিপেটা

মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরের শাহ এলাকার শহীদ লেনে বস্তির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুলিশ। এ সময় বস্তিবাসী মূল সড়কে এসে অবরোধ করে। বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। ছবি: জুয়েল শীল
মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরের শাহ এলাকার শহীদ লেনে বস্তির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুলিশ। এ সময় বস্তিবাসী মূল সড়কে এসে অবরোধ করে। বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানাধীন শহীদ লেন এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো মাদকের ডেরা উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের বাধার মুখে পড়েছে পুলিশ। স্থানীয় ব্যক্তিরা উচ্ছেদের জন্য নিয়ে যাওয়া বুলডোজার ভাঙচুর করে ও সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধের চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা দিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়ে ২০টি অবৈধ স্থাপনা ও ঘর উচ্ছেদ করে। এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। 

রেলওয়ের জায়গায় গড়ে ওঠা শহীদ লেন এলাকার বস্তি মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে—এমন অভিযোগে গত বুধবার থেকে সেখানে অভিযান শুরু করে পুলিশ। প্রথম দিনের অভিযানে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও ঘর উচ্ছেদ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ছিল দ্বিতীয় দিনের অভিযান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পুলিশ ও শ্রমিকেরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। এ সময় তাঁরা বস্তির ভেতর প্রবেশ করলে সেখান থেকে প্রায় শতাধিক মানুষ বের হয়ে সামনের জাকির হোসেন সড়কে চলে আসে। তারা সড়কের ওপর কয়েকটি রিকশা ফেলে অবরোধ করার চেষ্টা করে। পাশাপাশি উচ্ছেদের জন্য নিয়ে যাওয়া বুলডোজারটির কাচ ভাঙচুর করে। এ সময় বুলডোজারটির চালক সামান্য আহত হন। প্রায় ১০ মিনিট ধরে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ বস্তি থেকে বেরিয়ে লাঠিপেটাসহ ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করলে বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুলিশ।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শহীদ লেনের মাদকের আখড়ায় দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ২০টি অবৈধ স্থাপনা ও ঘর উচ্ছেদ করা হয়। অভিযান শুরুর আগে স্থানীয় ব্যক্তিরা সড়ক অবরোধ ও বুলডোজারের কাচ ভেঙে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের শক্ত অবস্থান দেখে তারা সরে যায়। এ সময় বুলডোজার ভাঙচুর ও চালককে মারধর এবং উচ্ছেদ অভিযানে বাধা সৃষ্টির দায়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
ওসি আরও জানান, এই বস্তিতে আরও বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে এখনো। এগুলো উচ্ছেদেও ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান