ঈদে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তিন ভাই-বোনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ঈদ উপলক্ষে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে বাড়ির পাশে একটি ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ওই তিন ভাই-বোনের। এর আগে শনিবার দুপুর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিল।

মৃত তিন জন হলো করিমগঞ্জের দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া গাংপাড়ার মুরগি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকি আক্তার (৮), চাঁদনি আক্তার (৬) ও ছেলে মো. শাফায়াতুল্লাহ (৪)। তারা তিন জনই স্থানীয় ইকরা শাহজালাল কিন্ডার গার্টেন স্কুলে পড়াশোনা করত।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে তিন সন্তানকে নিয়ে মা জোসনা আক্তার তিন দিন আগে উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে ছোট বোন আছমা আক্তারের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। গতকাল শনিবার দুপুর থেকে ওই তিন সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আছমার স্বামী পরশিদ মিয়ার বাড়ির পাশে নতুন বাড়ি তৈরি করার জন্য মাটি কেটে করা গর্তে বৃষ্টির জমা পানিতে দুই বোনের ভাসমান লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে একই ডোবা থেকে থেকে ছোট ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ দিকে দুপুরে খালার বাড়ি থেকে তিন-ভাই বোনের লাশ নিজ বাড়িতে আনা হয়। একসঙ্গে তিন সন্তানকে হারিয়ে বাবা-মা পাগল প্রায়। মৃত ওই তিন ভাই-বোনের লাশ দেখতে তাদের বাড়িতে শত-শত মানুষ ভিড় জমায়।

ওই তিন ভাই-বোনের বড় ভাই হাবিব মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জানা মতে এলাকায় তাদের কোনো শত্রু নেই। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তারা সেটা বুঝতে পারছেন না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল হুদা বলেন, এর আগে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা এলাকায় ঘটেনি।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ তিনটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।