দক্ষ মিডওয়াইফে গুরুত্ব দিতে হবে

প্রথম আলোর উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘নিরাপদ মাতৃত্ব: বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিলে বক্তারা। ছবি: প্রথম আলো
প্রথম আলোর উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘নিরাপদ মাতৃত্ব: বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিলে বক্তারা। ছবি: প্রথম আলো

নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। আর এ জন্য দরকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে দক্ষ মিডওয়াইফের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

আজ রোববার প্রথম আলোর উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘নিরাপদ মাতৃত্ব: বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই গোলটেবিলে অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ ও চিকিৎসক মো. হাবিবে মিল্লাত এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় নিরাপদ মাতৃত্বের গুরুত্ব, মাতৃমৃত্যুর সার্বিক চিত্র ও এর চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক সুলতান মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপী প্রতিদিন গর্ভাবস্থায়, শিশু জন্মের সময় এবং শিশু জন্মের ৪২ দিনের মধ্যে প্রায় ৮০০ জন মা মারা যান। বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ১৫ জন মা গর্ভজনিত জটিলতায় মারা যান।

এই উপস্থাপনার ওপর ভিত্তি করেই আলোচনা গুরুত্ব পায়। ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ হাবিবে মিল্লাত বলেন, বাংলাদেশে আশির দশকে প্রতি এক লাখে প্রায় পৌনে ছয় শ মায়ের মৃত্যু হতো। এখন এটা পৌনে দুই শতে (১৭৬) নেমে এসেছে। তবে সংখ্যাটি এখনো অনেক। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট আরও বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃস্বাস্থ্যের জন্য খুবই আন্তরিক। মাতৃস্বাস্থ্যসহ সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নে তিনি পিছপা হননি। সে কারণেই ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার যেখানে প্রতি লাখে ৫৭৪ ছিল, সেটা এখন কমে ১৭৬ হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একজন গর্ভবর্তী নারী সাদিয়া আফরিন গোলটেবিলে অংশ নিয়ে বলেন, মাতৃস্বাস্থ্যের জন্য এলাকাভিত্তিক সরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতাল করা উচিত।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তৃতা করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (মা ও শিশুস্বাস্থ্য) মোহাম্মদ শরিফ, ইউনিসেফের ঢাকা কার্যালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মায়া ভেন্ডানেন্ট, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (নার্সিং শিক্ষা) জাহেরা খাতুন, ইউএনএফপিএর বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা সৈয়দ আবু জাফর মোহাম্মদ মুসা, আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ পরিচালক শামস এল আরেফিন, ওজিএসবির সাবেক সভাপতি রওশন আরা বেগম, ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এ এস এম সায়েম, সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের কর্মসূচি পরিচালক আফসানা করিম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রওশন আরা বেগম।