নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার, ধর্ষণ-হত্যার অভিযোগ

ফেনীর সোনাগাজীতে নিখোঁজ হওয়ার চার ঘণ্টা পর পাশের বাড়ির পুকুর থেকে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের স্বল্প মান্দারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আছমা আক্তার (১৩) স্থানীয় কাজীরহাট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

কে বা কারা আছমাকে হত্যা করেছে, তা জানাতে পারেনি পরিবার। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ির পেছনের দিকের নলকূপ থেকে পানি আনতে যায় আছমা। দীর্ঘ সময় পরও পানি নিয়ে ঘরে ফিরে না আসায় আছমার মা বাইরে বের হয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে চিৎকার করতে থাকেন। পরে বাড়ির লোকজন মিলে আছমাকে আশপাশসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ির পশ্চিম পাশের সড়কের কিছুটা দূরে আছমার জুতা পাওয়া যায়। মাটিতে তার পায়ের চিহ্ন দেখা যায়। সামনের দিকে আরেকটু এগোলে একটি পুকুরের পাড়ে আছমার ওড়না মেলে। পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

আছমার বাবা দুলাল হোসেনের ভাষ্য, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে দুর্বৃত্তরা তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে তাঁদের জোর সন্দেহ। ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

পরিবারের দাবি, আলামত দেখে মনে হয়, আছমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হালদার প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি পুকুর থেকে আছমার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, আছমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বলা যাবে।