১৫ হাজার টিকিট এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়নি

বাংলাদেশ থেকে ১৪ জুলাই এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ফ্লাইট শুরুর মাত্র নয় দিন বাকি থাকলেও এখনো ১৫ হাজার হজযাত্রীর জন্য টিকিট কেনেনি হজ এজেন্সিগুলো। বিমান বলছে, এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকিট সংগ্রহ না করলে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নতুন সময়সীমা দেবে না সৌদি আরব। এতে হজযাত্রীদের একটি অংশকে সৌদি আরব যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিমান।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত হজযাত্রীদের সৌদি আরবে নেবে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি। ১৮৭টি ফ্লাইটে ৬৩ হাজার ৬০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে বিমান। তবে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৮ হাজার টিকিট বিক্রি করতে পেরেছে বিমান।

গত হজ মৌসুমে হজযাত্রী না পাওয়ায় ২৪টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে। শেষ মুহূর্তে সৌদি আরব থেকে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার স্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হজযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে বিমানের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বছর সৌদি সরকার অতিরিক্ত হজ ফ্লাইটের অনুমোদন দেবে না। ফলে নির্ধারিত ফ্লাইটে যাত্রী কম গেলে অন্যদের হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছর এ সময়ে পাঁচ হাজারের মতো টিকিট এজেন্সিগুলো সংগ্রহ করেছিল। সে তুলনায় এ বছর এজেন্সিগুলো সর্বোচ্চসংখ্যক টিকিট সংগ্রহ করেছে। এরপরেও সব এজেন্সিকে আমাদের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই টিকিট সংগ্রহ করে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’

টিকিট না পাওয়ার জন্য বিমানের ওপর কিছুটা দোষারোপ করেছে হাব। সংগঠনটি বলছে, ধর্ম মন্ত্রণালয় গত ৯ মে এক নির্দেশনায় ২০ মের মধ্যে টিকিট সংগ্রহের জন্য সব এজেন্সিকে নির্দেশনা দেয়। সেখানে বলা হয়, ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে হজ এজেন্সিগুলোকে হজযাত্রীদের ফ্লাইট বুকিং সম্পন্ন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনস থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে ২০ মের মধ্যে জমা দিতে হবে। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে বিমান চাহিদা অনুযায়ী এজেন্সিগুলোকে টিকিট সরবরাহ করতে পারেনি।

গত ২১ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে যেসব হজ এজেন্সি এখনো বিমানের টিকিট কিনে ভিসা সংগ্রহ করার জন্য ঢাকার হজ অফিসে হজযাত্রীদের পাসপোর্ট জমা করেনি, তাদের দ্রুত এ কাজ করতে হবে। কারণ, এ বছর নির্ধারিত শিডিউলভুক্ত ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহনে ব্যর্থ হলে সৌদি আরবে কোনো অবস্থাতেই অতিরিক্ত কোনো স্লট বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।

এ বছর চারটি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এসব উড়োজাহাজে আসনসংখ্যা ৪১৯। অন্য পথে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে চারটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ দুই মাসের জন্য ইজারা নিয়েছে বিমান। এর মধ্যে তিনটি উড়োজাহাজ বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে, আরেকটি শিগগিরই যোগ হবে। ফ্লাই গ্লোবাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ তিনটি উড়োজাহাজ ভাড়া করেছে বিমান।