পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালেন পর্যটনমন্ত্রী

পর্যটন মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। তাঁর পাশে ছিলেন বিহারের পর্যটনমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনসচিব। কলকাতা, ভারত, ৬ জুলাই। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
পর্যটন মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। তাঁর পাশে ছিলেন বিহারের পর্যটনমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনসচিব। কলকাতা, ভারত, ৬ জুলাই। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পর্যটকদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আকর্ষণীয় স্থান দেখতে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। আজ শুক্রবার দুপুরে কলকাতায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী ‘ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’-এর উদ্বোধন করে তিনি এই আমন্ত্রণ জানান।

অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিহারের পর্যটনমন্ত্রী প্রমোদ কুমার ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনসচিব অত্রি ভট্টাচার্য। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যটনশিল্পে এগিয়ে চলেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এসব পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটনকেন্দ্রের যাতায়াতব্যবস্থাও উন্নত। আছে বিভিন্ন মানের হোটেল ও বহু দর্শনীয় স্থান। আপনাদের ভালো লাগবে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। আসুন, বাংলাদেশ দেখতে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘এই পর্যটন মেলা আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করবে, কাছে আনবে, কাছে টানবে।’

এবারের এই পর্যটন মেলায় যোগ দিয়েছে ভারতের ২৮টি রাজ্য ও বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা। বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছে ১৫টি বেসরকারি পর্যটন সংস্থা আর দুটি সরকারি সংস্থা। সরকারি দুই সংস্থা হলো বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

মেলা উদ্বোধনের পর পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল মেলা চত্বরের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন। এই প্যাভিলিয়নটি গড়া হয়েছে দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দিরের আদলে।

বাংলাদেশ বেসরকারি পর্যটন সংস্থা জার্নি প্লাসের নির্বাহী কর্মকর্তা ও ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক তৌফিক রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এবারই বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক পর্যটন সংস্থা ও প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। এই পর্যটন মেলার মাধ্যমে বহু ভারতীয় পর্যটক বাংলাদেশে দেখতে পাবেন। পর্যটনশিল্পে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আছে চোখ জুড়ানো অনেক পর্যটনকেন্দ্র।

মেলা উদ্বোধনের আগে মন্ত্রী কলকাতার বেকার হোস্টেলে যান। সেই হোস্টেলে একসময় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন বঙ্গবন্ধু পড়তেন বেকার হোস্টেলের কাছে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে। এখন সেই কলেজের নাম হয়েছে মওলানা আজাদ কলেজ। এই কলেজের বেকার হোস্টেলে যে কক্ষে বঙ্গবন্ধু ছিলেন, সেই কক্ষে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি মিনি জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রী এই বেকার হোস্টেলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।