নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় নৌ দুর্ঘটনার দুদিন পর ৩ যাত্রীর লাশ

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে নিখোঁজ তিন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে টানবাজার লবণঘাটসহ আশপাশের এলাকায় লাশগুলো ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে ট্রলার কাত হয়ে ছাদ ভেঙে পড়লে এই যাত্রীরা নদীতে পড়ে যান।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল মো. শরফুদ্দীন জানান, সকালে টানবাজার লবণঘাটসহ আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধার করা তিন লাশের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে। তাঁরা হলেন মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে ইমন (১৮) ও একই এলাকার কানাই মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৫)। লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আর কোনো নিখোঁজের অভিযোগ না থাকলেও বিকেল পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।

গত রোববার রাত সাড়ে নয়টায় শীতলক্ষ্যা নদীর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ৬০ থেকে ৭০ যাত্রী নিয়ে মদনগঞ্জ ঘাটে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রলারটি কাত হয়ে যায় এবং ট্রলারের ছাদ ভেঙে যায়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। রাতে নিখোঁজের কোনো অভিযোগ না থাকায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে। ইমন, দ্বীন ইসলাম ও ওসমান গণি নামের তিন যাত্রী নিখোঁজ—এমন তথ্যে পরদিন সোমবার সকালে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।