যশোরে জামিনে মুক্তির পর নিখোঁজ, অতঃপর গুলিবিদ্ধ লাশ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার গাঙগুলিয়া জামতলা গ্রাম থেকে বাবলা হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বাবার দাবি, গতকাল মঙ্গলবার একটি মামলায় জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সাদাপোশাকে পুলিশ বাবলাকে তুলে নিয়ে যায়। আর পুলিশ বলছে, দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই যুবক নিহত হয়েছেন বলে তাদের ধারণা।

আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রেখে যায়।

নিহত বাবলা যশোর সদর উপজেলার হাসিমপুর গ্রামের মো. আমজাদ হোসেন মোল্লার ছেলে।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আজ ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আমরা খবর পাই, যশোর-রাজগঞ্জ সড়কের পাশে একটি লাশ পড়ে আছে। লাশটি মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিল। লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।’

আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে মর্গের সামনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত বাবলার পরিবারের স্বজনেরা আহাজারি করছেন। সেখানে বাবলার বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে বাবলা একটি হত্যা মামলায় যশোর কারাগারে আটক ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় সে জামিনে কারাগার থেকে বের হয়। সাদাপোশাকে কয়েকজন কারাগারের ফটক থেকেই সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে করে যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়ার দিকে তুলে নিয়ে যায়। রাত একটা পর্যন্ত থানায় গিয়ে বসে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ তাকে আটকের কথা স্বীকার করেনি। সকালে হাসপাতালের মর্গে এসে ছেলের লাশ পেলাম।’

এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, ‘শুনেছি, কে বা কারা তাকে কারাগারের গেট থেকে তুলে নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে সে সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হত্যা, পাঁচটি অস্ত্র ও দুটি মাদকের মামলা।’