বিআরটিএতে দুদকের অভিযান

বিআরটিএর ইকুরিয়া কার্যালয়ে দুদকের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
বিআরটিএর ইকুরিয়া কার্যালয়ে দুদকের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ইকুরিয়া কার্যালয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে সংস্থা। আজ বুধবার পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়।

সূত্র জানায়, বিআরটিএর ইকুরিয়া কার্যালয়ে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস দেওয়ার সময় বিপুল পরিমাণে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আসে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপপরিচালক খায়রুল হুদার নেতৃত্বে পুলিশসহ নয় সদস্যের একটি দল সেখানে আকস্মিক অভিযান চালায়।
জানা গেছে, দুদক কর্মকর্তাদের উপস্থিত হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অবস্থানরত দালালেরা পালিয়ে যান। সরেজমিনে দুদকের দলটি দেখতে পায়, ২০০২ সালের আগের পুরোনো ও অচল অসংখ্য মিশুক বেআইনিভাবে সিএনজি করার প্রক্রিয়া চলেছে। সেখানে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আনা বেশ কিছু মিশুকে ভুয়া চেসিস নম্বর লাগানো ছিল। এ অনিয়ম দেখে দুদক টিম তাৎক্ষণিকভাবে এ বেআইনি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
এ ছাড়া দুদক দলের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা আটটি যানবাহনকে পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিক ফিটনেস দেওয়া হয়।
এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে জনসচেতনতার জন্য সেখানে দুর্নীতিবিরোধী স্টিকার ও লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং মাইকিং করে যেকোনো দুর্নীতি-হয়রানি তাৎক্ষণিকভাবে দুদক হটলাইনে (১০৬) জানানোর অনুরোধ করা হয়।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টার এ অভিযান শেষে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, বিআরটিএকে অবশ্যই দুর্নীতির কবল থেকে মুক্ত করে নির্বিঘ্ন সেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অফিস দালালমুক্ত না করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।