রাজধানীতে পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ছাত্রীসহ পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনাগুলো ঘটেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, জুরাইন রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত (১৮) এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকায় গৃহবধূ নদী (২৫) ও মুগদা এলাকায় মৌসুমি আক্তার মিতু (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তর মেরুল এলাকায় ইমাম হোসেন (৪৫) ও হাজারীবাগে রুবি সিদ্দিকী (৩০) বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। চারটি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাচ্চু মিয়া বলেন, জুরাইন রেলগেট এলাকায় গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারী আহত হন। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল নিয়ে এলে মধ্যরাতে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর নাম-পরিচয় এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।

দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে নদী নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ওই নারীর স্বামী শাওন মিয়া নদীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে মধ্যরাতে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই বাচ্চু মিয়া আরও বলেন, বাড্ডার উত্তর মেরুলে একটি বাসায় ফ্যান মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইমাম হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁর পরিবার তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত সাড়ে তিনটার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ইমাম একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন।
রাজধানীর হাজারীবাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রুবি সিদ্দিকী (৩০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। তাঁকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই নারী হাজারীবাগ বড় মসজিদের পাশে একটি টিনশেড বাড়িতে স্বামী আমিনুল হক সিদ্দিকীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। রুবির বড় ভাই মোজ্জামেল সুমন জানান, টিনের চালে উঠে রোদে ভেজা কাপড় শুকাতে দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন রুবি।

মুগদার দক্ষিণ মান্ডায় মৌসুমি আক্তার মিতু (২০) নামের এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানায় পুলিশ। আজ ভোর ছয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান বলেন, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে ভোরে নিজ বাসার দ্বিতীয় তলায় গলায় ফাঁস দেন তিনি।
মিতুর বড় ভাই আহম্মদ আলী বলেন, তাঁরা দক্ষিণ মান্ডা ৩ নম্বর গলির এলাকায় থাকেন। মিতু টিকাটুলি সেন্ট্রাল উইমেন মহিলা কলেজের ছাত্রী ছিলেন।