খুলনার ট্রিপল মার্ডার রায় ঘোষণায় বিব্রত হাইকোর্ট

খুলনার মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল ইমামসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় আসামির ডেথরেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণার দিনে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার বিব্রতবোধের কথা জানিয়ে মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ এবং আসামি শুকুর গাজীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ।

বশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে ডেথরেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এসবের ওপর রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সকালে এই বেঞ্চ বিব্রতবোধের কথা জানিয়ে ওই মামলায় রায় ঘোষণা না করে তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এখন নিয়ম অনুসারে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে সেখানে পুনরায় শুনানি হবে।

আইনজীবী সূত্র বলেছে, ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট খুলনা মহানগরীর শামসুর রহমান রোডের নিজ বাসভবন থেকে রিকশাযোগে আদালতে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় মঞ্জুরুল ইমাম নিহত হন। এতে মঞ্জুরুলের সহযাত্রী আইনজীবী বিজন বিহারী মণ্ডল ও রিকশাচালক শহিদুল ইসলাম নিহত হন। ওই ঘটনায় মঞ্জুরুলের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে খুলনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. শাহজাহান হাওলাদার ২০০৪ সালের ১১ মার্চ শুকুর গাজী, রিপন, গণেশ ও ইমাম হাসান ওরফে ইমামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চার আসামিকে খালাস দেন। তাঁদের মধ্যে ইমাম হাসান ক্রসফায়ারে নিহত হন। ওই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল এক রায়ে শুকুর গাজীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অপর দুই আসামি শেখ আবদুল রাব্বী ওরফে রিপন ও গণেশ ব্যানার্জিকে খালাস দেওয়া হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে, যা ডেথরেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। আর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শুকুর গাজী।